• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িত আরো সেনার বিচার করবে মিয়ানমার

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগে সামরিক আদালতে আরো সেনা সদস্যের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

দেশটির সরকার নিযুক্ত একটি কমিশনের তদন্তে সেনারা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়ার পর শুক্রবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এ খবর জানায়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওই প্যানেলে উপসংহার টেনে বলা হয়েছে, “২০১৭ সালে ওই গ্রুপটির বিরুদ্ধে (রোহিঙ্গা) সেনাবাহিনী পরিচালিত অভিযানে অনেকের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধাপরাধ এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী।”

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া গত বছর হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করার পরে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া সেনা আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সেখানকার প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়। গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়েই ওই অভিযান চলেছে বলে বর্ণনা করে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা।

মিয়ানমারের দাবি, সেনাবাহিনী সুরক্ষা পোস্টগুলিতে আক্রমণকারী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বৈধ বিদ্রোহ-বিরোধী অভিযানের লড়াই করেছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, দুটো গ্রামে সেনাদের কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে মং নু গ্রাম, যেখানে বাসিন্দারা কমিশন প্যানেলটিকে জানিয়েছিলেন যে একটি বাড়িতে একসাথে আশ্রয় নেয়ার পরে ২০০ জন মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল।

আরেকটি হচ্ছে ‍চুত পাইন গ্রাম যেখানে আরো অনেক মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

মং নুর বাসিন্দারা সরকারের তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে, জঙ্গিরা কাছাকাছি একটি সুরক্ষা পোস্টে হামলা করে এবং এমন একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল যেখানে বহু গ্রামবাসী আশ্রয় নিচ্ছিল এবং ২০০ জনকে হত্যা করেছিল।

চুত পাইনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেনারা গ্রামটিকে ঘিরে রেখে, রকেট লঞ্চ ব্যবহার করে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিলো।

সেনারা যারা এই ধ্বংসে অংশ নেয়, তারা পরে পরিকল্পিতভাবে মরদেহগুলি ধ্বংস করে ফেলে বলে স্থানীয় একজন বৌদ্ধ বাসিন্দা সরকার সমর্থিত প্যানেলকে জানিয়েছেন।

তার বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘চুত পাইন গ্রামে অনেক মরদেহ ছিল যে সেগুলি পুড়িয়ে ফেলা হলেও, সবগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায় না; কিছুকে দাফন করা হয়েছিল এবং কিছু মরদেহ বন্য প্রাণীরা নষ্ট করে ফেলে।’

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্যানেলের প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে দেখছে। দ্য কোর্ট অব ইনকোয়ারি এ ঘটনাগুলো তদন্ত করবে এবং আইনানুগভাবে সামরিক বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী কোর্ট মার্শাল করা হবে।