• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

লালমোহনে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দৃষ্টি নন্দন পার্ক

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে দেশের সবচেয়ে বড় এলইডি টিভি, ফ্রি ওয়াইফাই জোন আর বাহারি রাইডস্ সম্বলিত সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক পরিণত হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে। লালমোহনের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দৃষ্টি নন্দন পার্কটিতে বন্ধের দিনসহ প্রতিদিন বেড়াতে আসছেন হাজারো মানুষ, মেতে উঠছেন নির্মল আনন্দ-বিনোদনে।
বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ডিজিটাল পার্কটি নির্মাণ করা হয়। সব বয়সের মানুষের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও জ্ঞান অর্জনেও সহায়ক হচ্ছে সরকারি শাহবাজপুর কলেজ মাঠের পার্কটি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে পার্কটি স্থাপন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পার্কটি সকলের জন্য উম্মুক্ত। রেললাইন, নাগরদোলাসহ বাহারি ধরনের ২৬টি রাইডস্ রয়েছে এখানে। প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষ। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ হাঁটা-চলা করছেন, কেউ রাইডসে চড়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠছেন। মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা রাতে পার্কটির সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
তরুণী সুইটি বলেন, ‘পার্কটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসি, খুব ভালো লাগে’।
তানিয়া বলেন, ‘লালমোহনে বিনোদনের তেমন স্থান নেই। পার্কটি হওয়ায় আমাদের সকলের অনেক সুবিধা হয়েছে। পরিবার-পরিজন ও বাসায় মেহমান এলে যে কোনো সময় তাদের নিয়ে ঘুরতে আসা যায়’।
শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মূখরিত থাকে পার্কটি। নারী নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এ ডিজিটাল পার্কের ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমরা খুব সহজেই ইন্টারনেটে বিশ্বের সকল বিষয় জানতে পারছি’।

সালমা জাহান বুলু বলেন, বন্ধের দিনে শিশুদের নিয়ে পার্কে এসে বেড়ানো যায়। এটি লালমোহনবাসীর বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
তপতি সরকার বলেন, সব বয়সী ও শ্রেণী-পেশার মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা হয়েছে। ছুটির দিন ছাড়াও যে কোনো উৎসবে অবসর পেলেই মানুষ ছুটে আসেন ডিজিটাল এই পার্কে।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চোধুরী শাওন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। এরই ধারবাহিকতায় লালমোহনকে মডেল ডিজিটাল উপজেলা গড়তে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা ছিলো না লালমোহনবাসীর। জেলা সদর কিংবা জেলার বাইরের পার্ক বিনোদন কেন্দ্রে যেতে হয়েছে তাদেরকে। এতে আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তি  দু’টিই ছিলো নিত্যসঙ্গী’। বিনোদনের পাশাপাশি ফ্রি ওয়াইফাই জোন দিচ্ছে জ্ঞান অর্জনের সুবিধাও। ‘তাই লালমোহনবাসীর বিনোদনের জন্য পার্কটি নির্মাণ করেছি। এতে বিনোদনের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞানও পাচ্ছে নতুন প্রজম্ম’।