• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

হাতের ফোনটিও জীবাণুমুক্ত থাকুক!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২০  

বলা হয়ে থাকে কমোডের সিটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি জীবাণু বহন করে আমাদের স্মার্টফোন। এ অবস্থায় যদি যোগ হয় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, তাহলে কিভাবে নিজের মোবাইলটি জীবাণুমুক্ত রাখবেন? আসুন জেনে নেইঃ

বারবার হাত ধুয়ে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের কবল থেকে থাকা যাবে সুরক্ষিত—এমনটাই বলছেন ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, হাতের স্মার্টফোনটিই করোনা এবং আরো অনেক ধরনের জীবাণু বহন করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কমোডের সিটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি জীবাণু স্মার্টফোনের পর্দায় বসবাস করতে পারে। দিনের বেশির ভাগ সময় ডিভাইসটি হাতেই রাখেন ব্যবহারকারীরা। ফলে হাত থেকে ফোনে জীবাণু স্থানান্তর হতেই পারে। হাত বারবার সাবান দিয়ে ধুলেও ফোন পরিষ্কার করেন খুব কম ব্যবহারকারীই। পানিতে ক্ষতি হতে পারে—এই ভয়ে ফোন মোছেনও না অনেকে।

ফোন জীবাণুমুক্ত করা কঠিন কিছু নয়। অভ্যাসটাই সবচেয়ে বড়। দিনে একবার বা দুবার ফোনটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায় বহুগুণ। আর যাঁরা কাপড় বা সিলিকনের কভার ব্যবহার করেন, তাঁরা সেটি সপ্তাহে একবার জীবাণুমুক্ত করলে সুরক্ষা আরো বাড়বে। যদিও প্লাস্টিক বা অন্যান্য ধরনের কভার, যেগুলো তরল শোষণ করে না, ব্যবহার করাটাই শ্রেয়। পরিধেয় কাপড় না হয় ধোয়া গেল, ফোনের কভার তো আর ধোয়া হয় না, অথচ এটাও হাতের ঘাম শোষণ করে ঠিকই।

জীবাণুমুক্ত করার জন্য খুব জটিল কোনো প্রক্রিয়ারও দরকার নেই। ফোনে লেগে থাকা জীবাণু মেরে ফেলার জন্য অনেক নির্মাতা তৈরি করেছেন আলট্রাভায়োলেট স্যানিটাইজার ডিভাইস। সেগুলো ব্যাকটেরিয়া হত্যা করে ঠিকই, কিন্তু ভাইরাসের বিরুদ্ধে কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে আছে সন্দেহ। আর তাই ময়লা পরিষ্কার হাতেই করতে হবে।

খুব সহজে ফোন জীবাণুমুক্ত করা যাবে দুটি উপায়। সবচেয়ে সহজ, ফার্মেসি থেকে অ্যালকোহল প্যাড কিনে সেগুলো ব্যবহার করে পুরো ফোন মুছে ফেলা। এরপর একটি শুকনো কাপড় দিয়ে বাড়তি অ্যালকোহল ফোন থেকে মুছে শুকিয়ে নেওয়া। উপায়টি সহজ হলেও অ্যালকোহল প্যাড কেনা বাড়তি ঝক্কি।

এ ছাড়া হাত ধোয়ার লিকুইড সোপ, পানি এবং দুটি কাপড় ও কটন বাড ব্যবহার করেও ফোন পরিষ্কার করা যাবে।

শুরুতে একটি ছোট পাত্রে অল্প পরিমাণ পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে। তার সঙ্গে মেলাতে হবে পানির তিন ভাগের এক ভাগ হাত ধোয়ার লিকুইড সোপ। ভালোভাবে দুটি মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ফোন থেকে চার্জার, ডাটা কেবল এবং হেডফোন খুলে সেটি বন্ধ করতে হবে। একটি শুকনা পরিষ্কার কাপড় সাবান-পানিতে হালকা ভিজিয়ে চিপে বাড়তি পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর সেটা দিয়ে করতে হবে ফোন পরিষ্কার। খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যেন চার্জিং পোর্ট, হেডফোন জ্যাক, মাইক্রোফোন, স্পিকার বা অন্য কোনো ফাঁক বা ফুটো দিয়ে পানি ফোনে না ঢুকে যায়। এরপর শুকনো কটন বাড দিয়ে ফোনের পোর্ট, জ্যাক এবং অন্যান্য ফুটো বা ফাঁকগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সব শেষে শুকনো কাপড় দিয়ে ফোনে লেগে থাকা সব পানি মুছে ফোন অন করলেই চলবে। এভাবে দিনে একবার অন্তত পরিষ্কার করা উচিত আপনার ফোনটি।

শুরুতে অ্যাপল এবং অন্যান্য ফোন নির্মাতারা এভাবে ফোন পরিষ্কার করতে মানা করেছিলেন, পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এভাবে পরিষ্কার করলে ফোনে ক্ষতি হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। শুধু যেন ফোনে পানি প্রবেশ না করে। ফোন যতই পানিনিরোধী হোক না কেন, বিনা কারণে সেটি পানির সংস্পর্শে না আনাই ভালো।

শুধু ফোন নয়, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের কি-বোর্ড, মাউস এবং কনসোলের কন্ট্রোলারও জীবাণুমুক্ত রাখা জরুরি।