• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

৬০ বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটাল করোনা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২০  

এক দম্পতির ৬০ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটালো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর একই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ওই দম্পতি। করোনা আতঙ্কে মৃত্যুর আগে পাশে পেলেন না সন্তানদের কাউকেই। মঙ্গলবার নির্মম এ ঘটনা ঘটেছে করোনায় বিপর্যস্ত ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় বার্গামো প্রদেশের আলবিনো শহরে।

সেভেরা বেলোত্তি (৮২) এবং লুইগি ক্যারারা (৮৬) দম্পতি তাদের জীবনের শেষ কয়েকটি দিন কাটিয়েছেন অবরুদ্ধ আলবিনো শহরে নিজ বাড়িতে। এই দম্পতির ছেলে লুসা ক্যারারার দাবি, তার বাবা-মা প্রায় ৮ দিন ধরে বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলেন। ১০২ দশমিক ২ ফারেনহাইট জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর এই সময় কোনও ধরনের মেডিক্যাল সহায়তা পাননি তারা।

বাবা-মাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় এই ছেলে স্থানীয় দৈনিক কুরিয়ার ডেলা সেরাকে বলেন, তার বাবা লুইগি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। শনিবার তাকে বার্গামো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার গৃহিনী মাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়।

মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে একজন সকাল সোয়া ৯টা এবং অন্যজন ১১টার দিকে মারা যান। বাবা-মায়ের মৃত্যুর সময় পাশে থাকতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন লুসা। মারা যাওয়ার আগে হাসপাতালে বাবা-মাকে দেখতে যেতে চাইলেও কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

লুসা বলেন, এই ভাইরাসের কারণে তারা একাই মারা গেলেন। একাকী পরিবেশে আপনার প্রিয়জন মারা যাচ্ছেন; যাদেরকে শেষ বিদায়টাও জানানো যাচ্ছে না, এমনকি বুকে জড়িয়ে ধরাও যাচ্ছে না। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে অপ্রিয় সত্য সেই বাণীটাও বলা গেল না যে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

বার্গামোর একটি পানি শোধন কোম্পানিতে কাজ করেন ওই দম্পতির ছেলে লুসা। বর্তমানে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনিও কোয়ারেন্টাইনে আছেন। লুসা বলেন, আশপাশের এলাকায় কোনও চিকিৎসক না থাকায় কয়েকদিন ধরে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে আটকা ছিলেন তার বাবা-মা।

দেশটির জরুরি সার্ভিসের নম্বর ১১২ এ কল করে বাবা-মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন লুসা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় দৈনিক কুরিয়ার ডেলা সেরাকে তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার করা দরকার যে আমি জরুরি সার্ভিসের কাউকেই দোষারোপ করছি না। আমি তাদের বুঝিয়েছি। এখন তাদের ধন্যবাদ জানানো ছাড়া আমার কোনও ভাষা নেই।

হাসপাতালে কোনোকিছুতেই শৃঙ্খলা নেই উল্লেখ করে লুসা বলেন, এমনকি হাসপাতালের কর্মীরা জানেন না রোগীকে কোথায় নিতে হবে। চিকিৎসকরা ঠিক করছেন; কাকে বাঁচাতে হবে। তারাই ঠিক করছেন, বৃদ্ধদের চিকিৎসার দরকার নেই। আসলে তারা কি করতে পারে; প্রশ্ন লুসার।

মৃত্যুশয্যায় বাবা-মায়ের পাশে থেকে শেষ বিদায়টা না জানাতে পারেননি লুসা। তাই বাবা-মাকে শেষ বিদায় জানাতে ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হ্যালো মম-ড্যাড, এই শয়তান ভাইরাস তোমাদেরকে একদিনে নিয়ে গেছে। তোমরা কি সেখানেও একসঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করবে? নিশ্চয়ই, তারপর হয়তো তোমরা পরষ্পরকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করবে।

অন্যান্য পরিবারগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে লুসা লিখেছেন, আমার বাবার বয়স ছিল ৮৬ বছর। তিনি বয়স্ক ছিলেন। কিন্তু তিনি আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন না।

ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৬২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৮২৭ জন। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এই ভাইরাসে উপস্থিতি ধরা পড়ে। চীনে ৩ হাজার ১৬৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাস এখন বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৮২ জন এবং মারা গেছেন চার হাজার ৭০১ জন।