• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

শোনা যায় মহাপ্রলয়ের পদধ্বনি!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২০  

 

বর্তমানে আমরা এমন একটি সময় অতিক্রম করছি, যখন প্রতিটি মুহূর্ত ভয় ও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। মরার ভয়, গুম হওয়ার ভয়, ধর্ষণের ভয়, জুলুমের ভয়, সম্পদ লুটপাটের ভয়, মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার ভয়- চারিদিকে আজ কেবল ভয়েরই প্রতিধ্বনি। এই যে একবিংশ শতাব্দিতে হুহু করে ফিতনার দ্বারগুলো খুলে যাচ্ছে, একে একে তাসবির দানার ন্যায় ফিতনাগুলো ধেয়ে আসছে, মানুষের জীবন জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে; আপনি ভাবছেন চলমান এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে! জি না, এসব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ হলো মহাপ্রলয়ের আগাম সতর্কতা। 

অধিকাংশ মানুষ কিয়ামতকে দূরে ভাবে; অথচ কিয়ামত তাদের চৌকাঠে কড়া নাড়ছে।

কিয়ামতের পূর্বমুহূর্তে এভাবেই ফিতনার স্রোত সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। ক্রমেই পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠবে। জুলুম-অনাচারে পৃথিবী কানায় কানায় ভরে যাবে। অকল্পনীয় সব পরিস্থিতির শিকার হবে মানুষ। বাবার হাতে মেয়ে, ভাইয়ের হাতে বোন ধর্ষিতা হবে। দুধের বাচ্চা থেকে শুরু করে আশি বছরের বুড়ি- কেউই এ নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অহরহ মানুষ মরতে থাকবে। কারণে-অকারণে নিহত হতে থাকবে। প্রকোপ এতটাই বেশি হবে যে, হত্যাকারীও জানবে না, কেন সে হত্যা করছে, আর নিহত ব্যক্তিও জানবে না, কেন তাকে হত্যা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অশ্লীলতার সয়লাব হবে। চারদিকে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে যাবে।

বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত পৃথিবীতে যে পরিমাণ বিপর্যয় ও ফিতনা এসেছে, একবিংশ শতাব্দির মাত্র বিশ বছরেই তার কয়েকগুণ বেশি ফিতনা প্রকাশ পেয়েছে। এ মাত্রা আরও দ্রুতই বাড়বে এবং জুলুম তার শেষ স্তরে পৌঁছাবে। এরপর প্রতীক্ষিত সে ইমাম আসবেন এবং মহাপ্রলয়ের আগ দিয়ে নতুন করে পৃথিবীতে শান্তির কেতন ওড়াবেন।

কিয়ামতের বড় আলামত প্রকাশ হওয়ার আগে যতগুলো ছোট আলামতের কথা হাদিসে এসেছে, আমাদের অনুসন্ধানমতে তার ৯০% আলামতই চলে এসেছে। বর্তমানে ফিতনার যে গতি, তাতে বাকি ১০% পূরণ হতে কতদিন লাগবে, আল্লাহই ভালো জানেন। তবে খুব বেশি যে দেরি নেই, সেটা হলফ করেই বলা যায়।

সার্বিক বিবেচনায়ই বর্তমান সময়টি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নাজুক ও ভয়ংকর। যতটা না ভয়ংকর জান ও মালের ক্ষেত্রে, তার চেয়ে বেশি ভয়ংকর ইমান ও আমলের ক্ষেত্রে। এ সময়ে মুমিনরা সকাল-বিকাল কাফির হতে থাকবে; যেমনটি সহিহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে। আকিদা-মানহাজ সব গড়বড় হয়ে যাবে। আলিমরা দুনিয়ার বিনিময়ে আখিরাত বিক্রি করে দেবে। নামসর্বস্ব আলিম নামের জাহিলরা ধর্মীয় নেতায় পরিণত হবে। তারা নিজেরাও ধ্বংস হবে এবং অনুসারীদেরও ধ্বংস করবে। 
‘কিতাবুল ফিতান’ ও ‘আশরাতুস সাআহ’ অধ্যায়গুলোতে যা পড়েছি, প্রায় সবই আজ বাস্তবে ঘটতে দেখছি। খুব ভয়ে দিন কাটছে। প্রতিদিন ইমানকে যাচাই করে দেখতে হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।