সাদিয়ার শিকার শতাধিক পাত্র, দ্বিতীয় স্বামীর নেতৃত্বে প্রতারণা
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
দ্বিতীয় স্বামীর নেতৃত্বে ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে ১০ বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে সাদিয়া জান্নাত ওরফে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৮)। একদিনেই এই নারী পাত্রদের কাছ থেকে ৪০ লাখের বেশি টাকা তুলেছে। তবে কেউ জানতো না কারও তথ্য। শতাধিক পাত্র তার শিকার হয়েছে। এই ব্যবসা করে সাদিয়া অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে। রিমান্ডে থাকা সাদিয়া সিআইডিকে তথ্য দেওয়া শুরু করেছে। তবে প্রতারক চক্রের মূল হোতা সাদিয়ার স্বামীসহ আরও চার সদস্য এখনও পলাতক।
সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে সাদিয়া প্রতারণার নানা কলাকৌশল বলতে শুরু করেছে। কখনও অবিবাহিত যুবক, কখনও বিপত্নীক, কখনও তালাকপ্রাপ্ত, কখনও নামাজি আবার কখনও বয়স্ক পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতো সাদিয়া। যে পাত্রের জন্য যেমন পাত্রী দরকার তেমন রূপেই নিজেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করতো। বিশেষ করে ধনাঢ্য পাত্রদের টার্গেট করে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দিয়েই বেশি প্রতারণা করতো। এভাবে গত প্রায় ১০ বছর ধরে শতাধিক পাত্রের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাদিয়া।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পরদিন শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডি।
সাদিয়ার ডায়েরিতে পাত্রদের নাম ও টাকার অঙ্ক
পাত্রদের কাছ থেকে টাকা নিতে ডায়েরি ব্যবহার করতো সাদিয়া। কে কখন কত টাকা দিয়েছে সব লিখে রাখতো। এরপর নিতো পাত্রদের পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র। যা তার বাসা থেকেই উদ্ধার হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির একাধিক কর্মকর্তা জানান, দৈনিক পত্রিকায় পাত্র চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে সাদিয়ার প্রতারণার অনেক তথ্য মিলেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরি, মোবাইল ফোন ও সিম কার্ডেই মিলেছে শতাধিক পাত্রের তথ্য। ইতোমধ্যে তদন্তের প্রয়োজনে ওইসব ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সিআইডি। পাশাপাশি সাদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার প্রতারণার কৌশল ও প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে তার বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে বিভিন্ন পাত্রের নাম পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে সেই হিসাবও পাওয়া গেছে। এছাড়া পাত্র হিসাবে যাদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের বিষয়েও আলাদা হিসাবের তথ্য মিলেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাদিয়া খুবই ধূর্ত প্রকৃতির। দ্বিতীয় স্বামীর অবস্থানের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মনে হয়েছে, সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, দৈনিক পত্রিকায় একাধিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতো এই চক্রের সদস্যরা। সেখানে থাকতো যোগাযোগের একাধিক মোবাইল নম্বর। প্রকাশ হওয়া বিজ্ঞাপন অনুযায়ী যিনি যোগাযোগ করতেন তার সঙ্গে কথা বলে তার ইচ্ছে জেনে সেই অনুযায়ী প্রতারণার কৌশল ঠিক করতো। এভাবে গত ১০ বছরে শত শত পাত্রের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের জিজ্ঞাসাবাদকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, সাদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন আলামতের মাধ্যমে শতাধিক পাত্রের সন্ধান মিলেছে। যাদের কাছ থেকে সাদিয়া বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়েছে। এখন তার দ্বিতীয় স্বামীকে ধরতে পারলেই প্রতারণার পুরো চিত্র পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, সাদিয়ার প্রতারণার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সহায়তায় বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবগুলো শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এসব হিসাব পাওয়ার পর চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে তার আর্থিক লেনদেনের সব তথ্য বের করা হবে। এরপর তার প্রকৃত অর্থের হিসাব জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, সাদিয়াকে যেদিন গ্রেফতার করা হয়, ওইদিনই সে চারটি ব্যাংকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার এফডিআর করেছে। এছাড়া টার্গেট করা পাত্রদের কাছ থেকে সবসময়ই নগদ টাকা নিতো। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা গ্রহণ করতো না। এছাড়া তার বাসা থেকে যেসব জমির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোও যাচাই করা হচ্ছে। যেসব ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে সিআইডির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সিম কার্ডে থাকা নাম ও নম্বরের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীদের তালিকা করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক তাদের ডেকে তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তবে ভুক্তভোগীদের অনেকেই প্রতারিত হওয়ার কথা স্বীকার করলেও নাম পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এক সিম এক পাত্র
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, প্রতারণার ক্ষেত্রে খুবই কৌশলী সাদিয়া। সে একজন পাত্রের সঙ্গে কথা বলার জন্য পৃথক সিম কার্ড ব্যবহার করতো। যে নম্বরে যার সঙ্গে যোগাযোগ করতো, সেই নম্বর দিয়ে অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতো না। টার্গেট করা পাত্রের সঙ্গে কথা বলা ও প্রতারণা শেষ হওয়ার পর ওই সিম কার্ড ফেলে দিতো। কখনও কখনও মোবাইল ফোন সেটও ফেলে দিতো।
প্রতারণার উদ্দেশেই দ্বিতীয় বিয়ে
কুমিল্লার দেবিদ্বারের বাসিন্দা সাদিয়া প্রতারণার উদ্দেশ্যেই দ্বিতীয় স্বামী বরিশালের মুলাদিয়ার বাসিন্দা এনামুল হাসান জিসাদকে বিয়ে করে। বিয়ের আগে তাদের দুজনের মধ্যে ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেখানেই এই প্রতারণার কৌশল নিয়ে কথাবার্তা চলে। তারপর বিয়ে করে প্রতারণার চক্র গড়ে তোলে তারা। রিমান্ডে সাদিয়ার তথ্যানুযায়ী তাদের দ্বিতীয় ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেমেয়েরা তাদের নানির সঙ্গে বেড়াতে গেছে বলে দাবি করলেও আসলে তারা আত্মগোপন করেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী বিশেষ পুলিশ সুপার জিসান আহমেদ বলেন, প্রতারক সাদিয়া ও তার চক্রের মাধ্যমে শত শত মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। যাদের অনেকেই সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
প্রতারণা চক্রে পাঁচ সদস্য
সাদিয়া জান্নাতের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। দ্বিতীয় স্বামী এনামুল হাসানকে নিয়ে সাদিয়া গড়ে তোলে ৫ সদস্যের চক্র। বাকি সদস্যরা হলো শাহরিয়ার, ফারজানা এবং আবু সুফিয়ান। এছাড়া আরও একাধিক ব্যক্তির তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের প্রধান হিসাবে সাদিয়া বিয়ের জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে কখনও উল্লেখ করতো, ‘প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কানাডার সিটিজেন ডিভোর্সি সন্তানহীন পাত্রীর জন্য পাত্র প্রয়োজন। পাত্রীর ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্রের অগ্রাধিকার।’ এছাড়া কখনও কখনও অবিবাহিত যুবক ও বয়স্ক পাত্রের জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন দিতো। যোগাযোগের ঠিকানা থাকতো ভিন্ন ভিন্ন। সর্বশেষ পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী নাজির হোসেন তার প্রতারণার শিকার হওয়ার পর সিআইডির কাছে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের তদন্তের একপর্যায়ে সাদিয়া ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের বিশেষ পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার বলেন, রিমান্ডের প্রথম দিনে সাদিয়া ঠিকমতো কথা বলেনি। অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তারপরও তার কাছ থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন আলামত বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। যেগুলো যাচাইয়ের কাজ চলছে। তিনি বলেন, সাদিয়ার প্রতারণার অন্যতম সহযোগী তার দ্বিতীয় স্বামীসহ অন্তত আরও চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
- ঝালকাঠি সদর ও নলছিটিতে শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
- উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে উপকূল জুড়ে কোস্টগার্ড মোতায়েন
- নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?
- দুধের সঙ্গে যা খাবেন না
- গরমকে বশে রাখে মিশরীয় শরবত!
- বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক!
- মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশন
- মূল্যস্ফীতি হ্রাসই লক্ষ্য
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়াতে হবে
- চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান
- ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’
- এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনের সময় শেষ আজ
- সবার মুখে খাবার তুলে দিতেই কাজ করছেন শেখ হাসিনা
- নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে ৬১৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- নতুন ধরনের প্রতারণার কথা জানাল পুলিশ
- আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল এক্স ডটকম
- নীতিমালা হচ্ছে হিমায়িত মাংস আমদানিতে
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চিঠি
- আজ মধ্যরাত থেকে আগামী ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ
- ফিটনেসবিহীন মোটরযান চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ
- একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবেঃ ইসি আহসান হাবিব
- শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- ট্রমাসেন্টারে একমাসের মধ্যে জনবল নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু হবে
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে
- বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ
- শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করেছে: সচিব
- আগামী প্রজন্মের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে
- বরিশালে অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে
- মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল
- ক্ষমতার লোভে অপপ্রচারের রাজনীতি বন্ধ করুন
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- বরিশালে বিপুল পরিমানে কারেন্ট জাল সহ ১১ জেলে আটক
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- ভোলায় দুদিন ব্যাপী বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন
- ভোলায় পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস
- ভোলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- আমি জনতার, জনতা আমার- আলহাজ্ব মোঃ ইউনুস
- নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিবেন
- মাদারীপুর সদরে আসিব, রাজৈরে মোহসীন নির্বাচিত
- ২৭ জেলায় আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
- মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে সমঝোতা স্বাক্ষর বৃহস্পতিবার
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে