• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান ‘সামান্য কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে দেশের সর্বনাশ করবেন না’ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান

দোয়া কবুলের জন্য রাসূল (সা.) ওপর দরুদ পড়া জরুরি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০  

চলছে রবিউল আওয়াল মাস। এ মাসের শপথ হোক দরুদের। অভ্যাসে পরিণত হোক দরুদ পাঠ করা। যদি আমরা দরুদের অভ্যাস গড়ে নিতে পারি তাহলে আমাদের রবিউল আওয়াল পালন সফল হবে।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার দরবারে যেকোনো ইবাদত ও দোয়া কবুল হতে নবীজির (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত জরুরি।

দরুদ শরিফ পাঠে আল্লাহর দরবারে ইবাদতের বিনিময় সুনিশ্চিত হয়। বড় বড় বুযুর্গরা বলেন, দুরুদ আবশ্যকীয় কবুল বিষয়। একারণে বুযুর্গরা বলতে প্রত্যেক দোয়ার আগে পরে দুরুদ পড়, যেন তোমার দোয়ার আগে পড়ে আবশ্যকীয় কবুল বিষয় থাকার কারণে মাঝের দোয়াও আল্লাহ কবুল করে নেবে।

ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য পরম ভক্তি-শ্রদ্ধা ও পূর্ণ ভালোবাসার সঙ্গে নবীজির (সা.) ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর অধিক থেকে অধিক দরুদ পাঠ করা। 

কেননা দরুদ পড়া এমন একটি ইবাদত, যা আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কবুল করেন। এমনকি স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় হাবিবের ওপর সবসময় দরুদ (রহমত বর্ষণ) পড়েন।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনুল কারিমে ঘোষণা হচ্ছে,

إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا

অর্থাৎ: ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর ওপর দরুদ ও সালাম পেশ করে (অনুগ্রহ প্রার্থনা করে)। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পড় এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা: আল আহজাব, আয়াত নম্বর: ৫৬)

নবীজি (সা.) ওপর দরুদ পাঠের ফজিলত বেশ অপরিসীম। একদিন এক ব্যক্তি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে নামাজ পড়ে এই দোয়া করল, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার সবগুনাহ ক্ষমা করে দিন এবং আমার ওপর রহমত দান করেন, তখন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ওহে নামাজি! তোমার এতো তাড়া কিসের? খুব জলদি করেছ। শোনো, যখন তুমি নামাজ পড়বে তখন প্রথমে আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করবে। তারপর আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে এবং পরিশেষে নিজের জন্য দোয়া করবে।’ (তিরমিজি)

বর্ণিত ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি প্রত্যেক কাজেই আল্লাহর হামদ ও সানার ওপর রাসূলের (সা.) ওপর দরুদ পাঠ জরুরি।

হজরত কাব ইবনে ওজারা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে যে তিনি বলেন, একদিন আমরা হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ওপর আমরা কীভাবে দরুদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, ‘বলো-

اللهم صلي علي محمد وعلي أل محمد، كما صليت علي إبراهيم وعلي أل إبراهيم إنك حميد مجيد، اللهم بارك علي محمد وعلي أل محمد كما باركت علي إبراهيم وعلي أل إبراهيم، إنك حميد مجيد

‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ; কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ; আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদ-কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।’

অর্থাৎ: ‘হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের ওপর এমন রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম (আ.) ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম (আ.) ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।’ বোখারি ও মুসলিম বর্ণিত দরুদটি আমাদের সকলেরই জানা ও মুখস্থ। 

এই দরুদটি আমরা প্রতিদিন প্রতিনামাজের শেষ বৈঠকে পড়ি। এখন থেকে নিয়ত করি। এটাকে প্রতিদিন সকাল দুপুর বিকেল সন্ধ্যার পাঠ্য বানিয়ে নেব।

এই দুরুদ পাঠে আমাদের কী লাভ হবে সেই সংবাদ আমাদেরকে দিচ্ছেন নবীজি (সা.) নিজেই। নাসাই শরিফের বর্ণনায় আছে হজরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর মাত্র একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করেন এবং কমপক্ষে তার ১০টি গুনাহ মাফ করেন। তার আমলনামায় ১০টি সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন এবং আল্লাহর দরবারে তার মর্যাদা ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়’। 

একই কিতাবের আরেক হাদিসে আছে নবীজি (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সেই ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পড়ে।’ সুবহানাল্লাহ!’

এতো এতো ফজিলতের কথা শুনেও যদি আমরা দুরুদে অভ্যস্থ না হই তাহলে আমাদের এ বলা কওয়া লেখার মূল্য কী?